কমেছে সবজির দাম, চড়া মাছের বাজার

ফাইল ছবি

 

ঈদের ছুটির পরে সাপ্তাহিক বাজারে মানুষের আনাগোনা অন্যান্য সময়ের তুলনায় কিছুটা কম। যার প্রভাব পড়েছে সবজি বাজারে। গত সপ্তাহের তুলনায় খুচরা বাজারে কিছুটা কম দামেই বিক্রি হচ্ছে অধিকাংশ সবজি। এদিকে, বাজারে মাছের সরবরাহ কম থাকায় বেড়েছে দাম।

শুক্রবার (১৯ এপ্রিল) সকালে রাজধানীর খিলগাঁও কাঁচাবাজার ঘুরে দেখা গেছে, ঈদের ছুটি শেষ হলেও অন্যান্য সময়ের তুলনায় বাজারে মানুষের ভিড় কিছুটা কম। বিক্রেতার সংখ্যাও কম।

বাজারে মটরশুঁটি ৮০-৯০ টাকা, গোল আলু ৩০ টাকা, টমেটো ৩০-৪০ টাকা, গোল বেগুন ৬৫ টাকা, লম্বা বেগুন ৪০ টাকা, করলা (বড়)-৬০ টাকা, করলা (ছোট) ৪০ থেকে ৫০ টাকা, কাঁচা পেঁপে ৪০-৫০ টাকা, শসা ৫০-৬০ টাকা, গাজর ৩০-৪০ টাকা, বরবটি ৮০ টাকা, চিচিঙ্গা ৪৫ টাকা, মিষ্টি কুমড়া ৩০ টাকা, কচুর লতি ৮০ টাকা, ঢ্যাঁড়শ ৫০ টাকা কেজিতে বিক্রি হচ্ছে। এছাড়া, লাউ আকারভেদে ৫০ টাকা এবং ফুলকপি-পাতাকপি ৩৫-৪০ টাকায় প্রতি পিস বিক্রি হচ্ছে।

তবে, চড়া দাম পেঁয়াজ ও রসুনের। পেঁয়াজ ১২০-১৩০, ভারতীয় রসুন ২২০ এবং দেশীয় রসুন ১৬০ টাকা কেজি দরে বিক্রি হচ্ছে।

 

কাঁচাবাজারের সবজি বিক্রেতা নাহিদ হাসান বলেন, ঈদের ছুটি শেষ হলেও এখন সব মানুষ ঢাকায় ফেরেনি। আবার যারা ঢাকায় এসেছে তারাও আসার সময় গ্রাম থেকে সবজি ও ফলমূল নিয়ে আসে সাধারণত। যার কারণে বাজারে ক্রেতার সংখ্যাও কম। সবজির চাহিদা কম থাকায় কমেছে দামও। গত সপ্তাহের তুলনায় আজকে প্রতিটি সবজিরই ১০ থেকে ২০ টাকা দাম কমেছে।

 

সবজির দাম কমলেও চড়া মাছের বাজার। প্রতিটি মাছেরই মাছের কেজিতে দাম বেড়েছে অন্তত ৪০ থেকে ৫০ টাকা। ব্যবসায়ীরা বলছেন, ঈদের কারণে বাজারে মাছের সরবরাহ কম। যার কারণে মাছের দাম কিছুটা বাড়তি।

 

বাজার ঘুরে দেখা গেছে, প্রতি কেজি বড় রুই ৪৫০ টাকা, মাঝারি রুই ৩৫০ টাকা, তেলাপিয়া ২৫০ টাকা, বড় পাঙাশ ২৮০-৩০০ টাকা, আকার ভেদে ইলিশ মাছ ১০০০-১২০০ টাকা, বড় কৈ ৬০০ টাকা, শিং ৮৫০ টাকা, বোয়াল ৫০০-৭০০ টাকা, কালবাউশ ৪৫০ টাকা ও আইড় ৬০০ টাকা কেজি দরে বিক্রি হচ্ছে।

 

এছাড়া, ছোট চিংড়ি ৩০০ টাকা, বড় চিংড়ি ৮০০ টাকা, মলা ৩০০ টাকা, পাবদা ৫০০ টাকা ও লৈট্টা ৩০০ কেজি দরে বিক্রি হচ্ছে।

 

ঈদের পরে প্রথম মাছ কিনতে এসেছেন সাব্বির আহমেদ। তিনি বলেন, ঈদের সময় বাড়ি থেকে আসার সময় কিছু মাছ-সবজি নিয়ে এসেছিলাম। সেগুলো গত ২-৩ দিন খেয়েছি। এখনও কিছু আছে।

 

তিনি আরও বলেন, বাজারে সবজির দাম কিছুটা কমেছে। কিন্তু মাছের দাম বাড়তি। পাবদা মাছ ঈদের আগে ৪৫০ টাকা কেজি দরে নিয়েছিলাম। আজ নিলাম ৫০০ টাকা কেজিতে। আর কাঁচকি মাছ নিয়েছি ৩৬০ টাকায়, যেটা আগে ৩২০ টাকায় নিতাম। আসলে সব ধরনের মাছেই ২০ থেকে ৫০ টাকা দাম বাড়তি। সূএ:  ঢাকা পোস্ট ডটকম

Facebook Comments Box

এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ



সর্বশেষ আপডেট



» বাসের ধাক্কায় প্রাণ গেল বৃদ্ধের

» আওয়ামী লীগের শ্রমিক সমাবেশে নেতাকর্মীদের ঢল

» বঙ্গবন্ধু সব সময় বৈষম্যের বিরুদ্ধে সোচ্চার ছিলেন : খাদ্যমন্ত্রী

» ট্রাকচাপায় প্রকৌশলী নিহত

» অপহরণকারী চক্রের সদস্য সিরাজকে অস্ত্রসহ গ্রেফতার

» কেনিয়ায় বৃষ্টি-বন্যায় নিহত বেড়ে ১৬৯

» বিশেষ অভিযান চালিয়ে মাদকবিরোধী অভিযানে বিক্রি ও সেবনের অপরাধে ২১জন গ্রেপ্তার

» নিত্যপণ্যের উচ্চমূল্য শ্রমিক ও জনগণের জন্য অভিশাপ : ইনু

» শেখ হাসিনার অধীনে কেয়ামত পর্যন্ত সুষ্ঠু নির্বাচন হবে না : রিজভী

» যতবার সরকারে এসেছি ততবার শ্রমিকদের মজুরি বাড়িয়েছি

উপদেষ্টা – মো: মোস্তাফিজুর রহমান মাসুদ,বাংলাদেশ আওয়ামী যুবলীগ কেন্দ্রীয় কমিটি। (দপ্তর সম্পাদক)  
উপদেষ্টা -মাকসুদা লিসা
 সম্পাদক ও প্রকাশক :মো সেলিম আহম্মেদ,
ভারপ্রাপ্ত,সম্পাদক : মোঃ আতাহার হোসেন সুজন,
ব্যাবস্থাপনা সম্পাদকঃ মো: শফিকুল ইসলাম আরজু,
নির্বাহী সম্পাদকঃ আনিসুল হক বাবু

 

 

আমাদের সাথে যোগাযোগ করুন:ই-মেইল : [email protected]

মোবাইল :০১৫৩৫১৩০৩৫০

Desing & Developed BY PopularITLtd.Com
পরীক্ষামূলক প্রচার...

কমেছে সবজির দাম, চড়া মাছের বাজার

ফাইল ছবি

 

ঈদের ছুটির পরে সাপ্তাহিক বাজারে মানুষের আনাগোনা অন্যান্য সময়ের তুলনায় কিছুটা কম। যার প্রভাব পড়েছে সবজি বাজারে। গত সপ্তাহের তুলনায় খুচরা বাজারে কিছুটা কম দামেই বিক্রি হচ্ছে অধিকাংশ সবজি। এদিকে, বাজারে মাছের সরবরাহ কম থাকায় বেড়েছে দাম।

শুক্রবার (১৯ এপ্রিল) সকালে রাজধানীর খিলগাঁও কাঁচাবাজার ঘুরে দেখা গেছে, ঈদের ছুটি শেষ হলেও অন্যান্য সময়ের তুলনায় বাজারে মানুষের ভিড় কিছুটা কম। বিক্রেতার সংখ্যাও কম।

বাজারে মটরশুঁটি ৮০-৯০ টাকা, গোল আলু ৩০ টাকা, টমেটো ৩০-৪০ টাকা, গোল বেগুন ৬৫ টাকা, লম্বা বেগুন ৪০ টাকা, করলা (বড়)-৬০ টাকা, করলা (ছোট) ৪০ থেকে ৫০ টাকা, কাঁচা পেঁপে ৪০-৫০ টাকা, শসা ৫০-৬০ টাকা, গাজর ৩০-৪০ টাকা, বরবটি ৮০ টাকা, চিচিঙ্গা ৪৫ টাকা, মিষ্টি কুমড়া ৩০ টাকা, কচুর লতি ৮০ টাকা, ঢ্যাঁড়শ ৫০ টাকা কেজিতে বিক্রি হচ্ছে। এছাড়া, লাউ আকারভেদে ৫০ টাকা এবং ফুলকপি-পাতাকপি ৩৫-৪০ টাকায় প্রতি পিস বিক্রি হচ্ছে।

তবে, চড়া দাম পেঁয়াজ ও রসুনের। পেঁয়াজ ১২০-১৩০, ভারতীয় রসুন ২২০ এবং দেশীয় রসুন ১৬০ টাকা কেজি দরে বিক্রি হচ্ছে।

 

কাঁচাবাজারের সবজি বিক্রেতা নাহিদ হাসান বলেন, ঈদের ছুটি শেষ হলেও এখন সব মানুষ ঢাকায় ফেরেনি। আবার যারা ঢাকায় এসেছে তারাও আসার সময় গ্রাম থেকে সবজি ও ফলমূল নিয়ে আসে সাধারণত। যার কারণে বাজারে ক্রেতার সংখ্যাও কম। সবজির চাহিদা কম থাকায় কমেছে দামও। গত সপ্তাহের তুলনায় আজকে প্রতিটি সবজিরই ১০ থেকে ২০ টাকা দাম কমেছে।

 

সবজির দাম কমলেও চড়া মাছের বাজার। প্রতিটি মাছেরই মাছের কেজিতে দাম বেড়েছে অন্তত ৪০ থেকে ৫০ টাকা। ব্যবসায়ীরা বলছেন, ঈদের কারণে বাজারে মাছের সরবরাহ কম। যার কারণে মাছের দাম কিছুটা বাড়তি।

 

বাজার ঘুরে দেখা গেছে, প্রতি কেজি বড় রুই ৪৫০ টাকা, মাঝারি রুই ৩৫০ টাকা, তেলাপিয়া ২৫০ টাকা, বড় পাঙাশ ২৮০-৩০০ টাকা, আকার ভেদে ইলিশ মাছ ১০০০-১২০০ টাকা, বড় কৈ ৬০০ টাকা, শিং ৮৫০ টাকা, বোয়াল ৫০০-৭০০ টাকা, কালবাউশ ৪৫০ টাকা ও আইড় ৬০০ টাকা কেজি দরে বিক্রি হচ্ছে।

 

এছাড়া, ছোট চিংড়ি ৩০০ টাকা, বড় চিংড়ি ৮০০ টাকা, মলা ৩০০ টাকা, পাবদা ৫০০ টাকা ও লৈট্টা ৩০০ কেজি দরে বিক্রি হচ্ছে।

 

ঈদের পরে প্রথম মাছ কিনতে এসেছেন সাব্বির আহমেদ। তিনি বলেন, ঈদের সময় বাড়ি থেকে আসার সময় কিছু মাছ-সবজি নিয়ে এসেছিলাম। সেগুলো গত ২-৩ দিন খেয়েছি। এখনও কিছু আছে।

 

তিনি আরও বলেন, বাজারে সবজির দাম কিছুটা কমেছে। কিন্তু মাছের দাম বাড়তি। পাবদা মাছ ঈদের আগে ৪৫০ টাকা কেজি দরে নিয়েছিলাম। আজ নিলাম ৫০০ টাকা কেজিতে। আর কাঁচকি মাছ নিয়েছি ৩৬০ টাকায়, যেটা আগে ৩২০ টাকায় নিতাম। আসলে সব ধরনের মাছেই ২০ থেকে ৫০ টাকা দাম বাড়তি। সূএ:  ঢাকা পোস্ট ডটকম

Facebook Comments Box

এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ



সর্বশেষ আপডেট



সর্বাধিক পঠিত



উপদেষ্টা – মো: মোস্তাফিজুর রহমান মাসুদ,বাংলাদেশ আওয়ামী যুবলীগ কেন্দ্রীয় কমিটি। (দপ্তর সম্পাদক)  
উপদেষ্টা -মাকসুদা লিসা
 সম্পাদক ও প্রকাশক :মো সেলিম আহম্মেদ,
ভারপ্রাপ্ত,সম্পাদক : মোঃ আতাহার হোসেন সুজন,
ব্যাবস্থাপনা সম্পাদকঃ মো: শফিকুল ইসলাম আরজু,
নির্বাহী সম্পাদকঃ আনিসুল হক বাবু

 

 

আমাদের সাথে যোগাযোগ করুন:ই-মেইল : [email protected]

মোবাইল :০১৫৩৫১৩০৩৫০

Design & Developed BY ThemesBazar.Com